আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছে। প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারায় দলটি; প্রথমে তামিম ইকবাল নুয়ান থুসারার দুর্দান্ত গুল লেংথ ডেলিভারিতে লাথি মারতে গিয়ে বোল্ড হন, এরপর দ্বিতীয় ওভারে দুশমন্থ চামিরার বলের এজ করে পারভেজ হোসেন ইমন ফিরতে বাধ্য হন। এই দুই ওভারে মোট চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথম একেবারে ভেঙে পড়ে। তবে দলের কিছু ব্যাটসম্যান পরিস্থিতি সামলে ওঠার চেষ্টা করেন, যার মধ্যে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় উল্লেখযোগ্য। তবে তারা বেশ দ্রুতই রান আউট হয়ে যান। লিটনকে ফিরিয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, এরপর হৃদয়ও ২৮ রানে আউট হন।এরপর জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি জুটি গড়ে ম্যাচকে কিছুটা ঘুরে দেন। জাকের ৪১ ও শামীম ৪২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে রানসংখ্যা ১৩৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। বাংলাদেশের জন্য এই সংগ্রহ মোটামুটি লড়াই করার মতো হলেও, শ্রীলঙ্কার অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হলো পাথুম নিশাঙ্কা ও কামিল মিশারা। নিশাঙ্কা ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করে দলের মানসিকতা বদলে দেন, এবং শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে আউট হলেও তার অবদান ছিল বড়।ম্যাচের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৪০ রান। যা শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে তাড়া করে। উইকেটের জন্য বাড়তি চেষ্টা চালান বাংলাদেশের বোলাররা, মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে প্রথম উইকেটটি পড়ে। তিনি আরও একটি উইকেট নেন, পরে শরিফুল হকও দুইটি উইকেট তুলে নেন। তবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বাউন্ডারির মাধ্যমে রান তুলতে থাকেন। নিশাঙ্কা ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন, তবে এরপর সাজঘরে ফিরে যান তার ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে ক্যাচ দিয়ে। এরপর কুশল পেরেরো ও দাসুন শানাকা দ্রুত রান তুলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। শেষ দিকে দরকার ছিল ১৩৯ রানের, যা তারা সহজেই হাসারাঙ্গার ভালো বোলিং ও দলের আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে অর্জন করে নেয়। এভাবে, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি জিতে সুপার ফোরের আসর থেকে তাদের এগিয়ে নিল। বাংলাদেশের জন্য এই হারে তাদের জন্য থাকা সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেলো, তবে তাদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় প্রয়োজন, যেন ভবিষ্যত এখনও জয়ের আশা ধরে রাখা যায়। পারস্পরিক সমঝোতা ও সামনের প্রতিযোগিতায় উত্তরণে এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
			
		    



















