পাবনা সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সুপ্রিম ভারতীয় নাগরিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জালিয়াতা করে শ্বশুরের নামে সরকারি জমি লিজ নেওয়ার এবং সেটি নিজের নামে দখলের।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী, যিনি পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লির নির্মল কুমারের ছেলে। তবে তার বসবাস পাবনা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। তার ভারতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ডের নম্বর ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১।
জানা গেছে, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশ সরকারের চাকরির নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন, অন্যদিকে তিনি ভারতের নাগরিক। এছাড়া তিনি ভারতে জমি কিনেছেন, ফ্ল্যাট বাড়ি করেছেন। তার স্ত্রী ও বড় ছেলে এখনো ভারতেই থাকে। ছোট ছেলে, যিনি বাক প্রতিবন্ধী, ভাতা পান, সেই ভাড়াটিও থাকেন পাবনাতে। মাঝে মাঝে তিনি ও তার পরিবার ভারতে যান দীর্ঘ সময়ের জন্য।
অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে, শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে সরকারি জমি জালিয়াতি করে 자신의 নামে নেয়ার চেষ্টা।
শ্বশুরের শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, ‘আমার বাবা শহরের মুরগি পট্টিতে সরকারি জমি লিজ নিয়েছিলেন। বাবা মারা গেলে সেই জমি আমার মায়ের নামে লিজ দেয়া হয়। তারও পরে, মা মারা যাওয়ার পরে, আমি ছাড়া অন্য কেউ জানতে না পেরে, আমার বোনকেই উত্তরসূরি হিসেবে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে বলা হয়। এখন আমার বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য নানা চেষ্টা চালাচ্ছে।’
অভিযুক্ত সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই সব অভিযোগ মিথ্যা, এগুলো কাগজপত্র বানানো। আমার স্ত্রীর ও সন্তানের সঙ্গে ভারতে গেছে। আমার সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। আমি প্রমাণ হিসেবে সব ডকুমেন্টস দেখাতে পারবো।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর জানিয়েছেন, তাদের কাছে অভিযোগ ও প্রমাণ এসেছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছেন, শিগগিরই রিপোর্ট হাতে পেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্টরা।