ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন। সংস্থাটি বলেছে, ২০২৩ সালে হামাসের সাথে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনের মতে গুরুতর পাঁচ ধরনের গণহত্যার মধ্যে চারটি কার্যকর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা, তাদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করা, গোষ্ঠীটির ধ্বংসের জন্য পরিকল্পিত পরিস্থিতি তৈরি করা এবং জন্ম রোধের জন্য অপপ্রয়াস।
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি নেতাদের বিবৃতি এবং সেনাদের আচরণ গণহত্যার মনোভাব বোঝাতে সক্ষম। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গাজায় গণহত্যা এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং এর দায় পুরোপুরি ইসরাইলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর চাপানো হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত দুই বছরে এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনিরা ধ্বংস করা।
অভিযোগের বিপরীতে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এটিকে বিকৃত ও মিথ্যা বলার অভিযোগ এনে, কমিশনকে বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে। তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই তদন্ত সংস্থা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এবং জাতিসংঘের অধীনস্থ। তারা গাজা সীমান্তে ইসরাইলের হামলার সময়কার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন প্রণয়নে কাজ করেছে।
এদিকে, এই রিপোর্টের প্রকাশের সময়ের সাথে মিলিয়ে গাজায় নতুন করে স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, দুইটি ডিভিশনের হাজারো সেনা অংশ নিয়েছে এই অভিযানে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইসরাইল গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চল বিধ্বস্ত ও জ্বলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ায় ভবিষ্যতেও এই সংঘর্ষের ভয়াবহতা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক মহল।