গত বছরের ৪ আগস্ট নতুন সরকার গঠনের জন্য מראש প্রস্তুতির পরিকল্পনা চলছিল, এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, সেই সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করা হয় এবং তাকে নতুন সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তাবও দেওয়া হয়। বিএনসিপি-এর এই নেতার জবানবন্দি বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার পরিচালিত দুই সদস্যের বিচারপ্যানেলের কাছে প্রকাশ করেন।
জবানবন্দির এক অংশে তিনি বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আমরা ২০২২ সালের ৪ আগস্ট শাহবাগে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছিলাম। এর পরের সময়, ৬ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, সেদিনই সরকার কারফিউ জারি করে এবং দেশব্যাপী ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালায়। আমি জানতে পারি, এই কর্মসূচি ব্যর্থ করতে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে, যার মধ্যে মোবাইল ও ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনাও ছিল। এমনকি আমাদের হত্যা বা গুমের আশঙ্কাও ছিল। এই আশঙ্কা থেকে আমরা ৫ আগস্টের পরিবর্তে ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্ট মার্চের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করি।
নাহিদ বলেন, এই কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় চালানো হয়। এর পাশাপাশি, নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতিকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে এই দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানান।
সেই날 ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে শুনানি করেন মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। গেল ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নাহিদের সাক্ষ্যগ্রহণ চালানো হয়, কিন্তু সম্পূর্ণ না হওয়ায় একে মধ্যবর্তী বিরতিতে রাখে ট্রাইব্যুনাল। আজ অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল অবশেষে, দুপুরের পরে, নাহিদ ইসলামের বাকি সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করবেন। এছাড়া, শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী মো. আমির হোসেন আগামী দিনের জেরায় অংশ নেবেন।