খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার বলেছেন, দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জেও পড়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিষেবাগুলো। তিনি একমত প্রকাশ করে বলেন, এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা গঠন অপরিহার্য। এ ধরনের প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা যাচাই এবং এর সুষ্ঠু কার্যকরী মনিটরিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার দুপুরে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে ‘‘ক্লাইমেট স্মার্ট ওয়াশ সিস্টেম ইন খুলনা সিটি কর্পোরেশন’’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচিতি অনুষ্ঠানকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিসেফের অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও খুলনা ওয়াসা এই প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিক পানির ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে নির্গত বর্জ্যর সঙ্গে অন্য বর্জ্য মিশে যায়, যা একজনের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। নার্স ও ক্লিনারদের প্রশিক্ষণে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও লবণাক্ত পানির প্রভাবে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় আশপাশের গ্রামীণ ও উপকূলীয় এলাকার মানুষ শহরে আসছে। তারা বিভিন্ন বস্তিতে বাসস্থান গ্রহণ করছে, যেখানে পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে মহিলাসহ শিশুরা পানিবাহিত রোগ, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট এবং প্রজনন সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো এমন বস্তিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন ও হাইজিনের মান উন্নত করা। প্রাথমিকভাবে, নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহের জন্য ওয়াটার এটিএম বুথ, দূষিত পানি পরিশোধনাগার ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমান। উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, যোগাযোগ কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান, পরিকল্পনা অফিসার আবির উল জব্বার, বাজেট কর্মকর্তা মোঃ মনিরজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোঃ মাসুদ করিম, আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশিদ, ওয়ার্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ। এছাড়াও খুলনা ওয়াসা, ইউনিসেফ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।