সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান আন্দোলন ও বিক্ষোভের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গুরুত্বপূর্ণ যোগবিলম্বে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এ ধরনের ভাঙচুর বা উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এগুলো আদালতে পৌঁছেছে। আদালত থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা অনুযায়ী কমিশন গুরুত্ব সহকারে কাজ চালিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার তিনি নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন,
‘প্রবাসে থাকা ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করলে তারা আর নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ আবার কখন নাগাদ আপডেট হবে, তা পরে জানানো হবে।’
আখতার আহমেদ আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল ২২ সেপ্টেম্বর ইসিতে আসবে। ইতিমধ্যে ২২ দলের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং এর প্রতিবেদন আগামী কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়গুলো খুব শিগগিরই ঠিক করা হবে। ৩১ অক্টোবরে তার আগে ১৮ বছর পূর্ণ করা নতুন ভোটারদের তালিকা যোগের কাজ চলমান। এছাড়া দেশের পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।
সীমানা বিরোধ ও বিক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ‘১৮টি রিট জমা পড়েছে। আমরা আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকবো।’ তিনি মান্য করেন, ভবিষ্যতে পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সীমান্ত বিরোধের বিষয় আলোচনায় তিনি বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে ভাঙচুর একদম অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, তা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক। আইনের ধারায় বলা আছে, মামলা গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ এটি মৌলিক অধিকার।’
অন্যদিকে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে, মোট প্রয়োজনীয় উপকরণের ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব জানান, মোট ১০ ধরনের উপকরণ কেনা হচ্ছে, তাদের মধ্যে দুটো ইউএনডিপি দেবে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে। বাকি আটটি উপকরণ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ চলছে।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, লাল গালা ঝুড়িতে ৯ হাজার ২০ কেজি, ৫০ লাখ ব্যালট বাক্সের মধ্যে ৬ লাখের লক, ৮ লাখ ৪০ হাজার অফিসিয়াল সিল থেকে ৬ লাখ, মার্কিং সিলের মধ্যে ৩ লাখ ৯৬ হাজার, ব্রাস সিলের মধ্যে ৯ হাজার ৯২০টি, ব্যাগ ও অন্যান্য উপকরণ সবই সংগ্রহে রয়েছে।
অক্টোবরের মধ্যে ৯ লাখ ৪০ হাজার স্ট্যাম্প প্যাড ও কলম, ১ লাখ ১৫ হাজার গানি ব্যাগের পুনরায় দরপত্রের কাজ চলমান রয়েছে। নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় উপকরণের এগারো ভাগেরও বেশি সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে, যা শিডিউলমাফিক কাজ চলমান।