জেলার বিএনপি সদস্য সচিব শেখ আবু হোসেন বাবুর বাড়িতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে মহানগর বিএনপি দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তারা আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারা রূপসার আইচগাতীতে অবস্থিত বাবুর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা হামলার বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান। মহানগর বিএনপি’র সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, আমরা আতঙ্কিত। গত ৫ অগাস্টের পর থেকে খুলনায় শতাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, কিন্তু এখনো হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাসের অবসান হওয়া জরুরি, যেন কেউ অন্যের বাড়িতে নিরাপদে থাকাটা স্বাভাবিক মনে করে। তিনি উল্লেখ করেন, আবু হোসেন বাবু একদিনে গড়ে ওঠেননি, তার সংগ্রাম ও আন্দোলনের ফসল তিনি। আজকের এই নৃশংস হামলা একটি অসুস্থ ও দুর্বল ব্যক্তির উপর directed। কেন এ ঘটনাগুলো ঘটছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। তিনি অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আবু হোসেন বাবু খুলনা জেলার একজন নিবেদিতপ্রাণ বিএনপি নেতা হলেও গত ১০ মাস ধরে তিনি অসুস্থ, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি দেশে ফেরার পরও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। এ অবস্থায় তার বাড়িতে এই ভয়ঙ্কর হামলা আমাদেরকে গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি বলেন, আমরা পরিবার থেকে জানলাম–জানি কেঁদে কেঁদে অসহায় হয়ে পড়েছেন আবু হোসেন বাবুর পরিবারের সদস্যরা। সেই দুর্বল ও অসুস্থ মানুষকে এভাবে আঘাত করা আমাদের জন্য দুঃখজনক। এই ঘটনায় পুরো খুলনাই শোকাহত। এই সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বেগম রেহেনা ঈসা, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুর্শিদ কামাল, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা আবু হোসেন বাবুর বাড়িতে দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করে এবং তিন রাউন্ড গুলি চালায়, যা সম্পূর্ণ নিন্দনীয় এবং জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।