জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে প্রায় এক ডজনের বেশি আঞ্চলিক দল শাহরাস্তি, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযান চলাকালে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের আওতায় ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পণ্য সরবরাহ, মোড়ক ব্যবহারে অনিয়ম, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি ও ভেজাল বিরোধী অভিযান আরও ব্যাপক আকারে পরিচালিত হয়।
খুলনা বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে নগরীর ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকার মেসার্স রয়েল সেভেন ট্রেডার্সকে যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করার জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে এস এ এন্টারপ্রাইজকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বিভাগের সহকারী পরিচালক দিনারা জামানের নেতৃত্বে নগরীর ট্রাকস্ট্যান্ডের বিভিন্ন স্থানেও মোড়ক ব্যবহারে অনিয়মের জন্য সাদিয়া টি হাউজকে ৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়।
এছাড়া, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে সদর উপজেলার ভয়না বাজারে দুই প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, যশোরের চৌরাস্তা বাজারে একটি প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার টাকা, সাতক্ষীরায় রেল স্টেশন বাজারে একটি প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার টাকা, ঝিনাইদহের নারিকেলবাড়িয়া বাজারে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। নড়াইলের সদর ও লোহাগড়ায় অভিযান চালিয়ে মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানের জরিমানা হয় ৪ হাজার ৫০০ টাকা। চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাটে কর্মকর্তারা পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করেন। খুলনা নগরীর বাগমারা এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর ও ক্রয় ভাউচার পরীক্ষা করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যেই পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর এসব অভিযানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যাদির মান ও দাম নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।