বাংলাদেশ সময়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ও পরে আঁকা অ্যান্ডি পাইক্রফটের ক্ষমা চাওয়াকে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য একটি নৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক বোর্ড প্রধান রমিজ রাজা। তবে তিনি এও মনে করেন, ইংল্যান্ডের রেফারির এই আচরণে ভারতের স্বার্থ প্রতিফলিত হচ্ছে, কারণ ভারতের জন্য এটি সুবিধাজনক।
এশিয়া কাপের পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের সময়টিতে টসের আগে ও পরে ক্রিকেটারদের মধ্যে করমর্দন না করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট নিজেই হাত না মিলানোর জন্য খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর ফলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই রেফারির বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করে তাকে প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। পরবর্তীতে आवश्यक ব্যতিক্রমী বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজা বলেন, এটা সত্যিই আমাদের জন্য একটি গুরুত্তপূর্ণ জয়। পুরো পরিস্থিতিটা খুবই জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। তখন আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাইলেও, আমরা তা করিনি। যদি টুর্নামেন্ট বর্জন করা হতো, তাহলে দেশের ক্রিকেটের অনেক বড় ক্ষতি হতো। আমি মনে করি, এই পরিস্থিতিতে আমাদের শান্ত ও সংযমী থাকা আবশ্যক, কারণ এর ফলে মাঠে সত্যিকারের ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়।
আশ্চর্যজনকভাবে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের শেষে সূর্যকুমার যাদব জয় উদযাপন করেন এবং এই জয়কেই দেশের সেনাবাহিনী ও পেহেলগাম হামলার শিকার পরিবারদের কাছেই উৎসর্গ করেন। তবে, রমিজ রাজা বলছেন, এই বিষয়টিতে তাঁর আপত্তি রয়েছে। তিনি মনে করেন, পাইক্রফট ভারতীয় দলের অত্যন্ত প্রিয় একজন রেফারির মধ্যে অন্যতম। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধরনের আচরণ কি সত্যিই সততার পরিচায়ক, না কি কিছু স্বার্থের জন্য চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় আপত্তি ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর সময় কথাগুলো নিয়ে। যদি ক্রিকেটকে রাজনীতির আঙিনায় রূপান্তর করা হয়, তবে আসল কোনো অর্জনই সম্ভব নয়। এই ধরনের মনোভাব খেলাকে দূষিত করে দিচ্ছে।
একটি বিষয় যা নজরে আসছে, তা হলো অ্যান্ডি পাইক্রফটের ব্যাপারে রমিজ রাজা জানান, আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় তিনি সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন সাউথ আফ্রিকার জন্য—১৩৫টি ম্যাচের মাধ্যমে। এরপর শ্রীলঙ্কা (১৩২), ভারত (১২৪), পাকিস্তান (১০২), ইংল্যান্ড (১০৭), বাংলাদেশ (৮৩) ও অস্ট্রেলিয়া (৮০) ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে বোঝা যায়, তিনি বিশ্বের শীর্ষ রেফারিদের একজন। তবে, তার পক্ষপাতিত্ব নিয়ে উঠে আসা প্রশ্নগুলোকে যেন তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন, যা ক্রিকেটের স্বচ্ছতা ও নৈর্ব্যক্তীয়তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।