সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে একদল বন্দুকধারী। পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকে ধরতে বুধবার একটি অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছোড়ে, যার ফলশ্রুতিতে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে নিহত হন।
প্রাড়া–প্রার্থী নিহত দুই ব্যক্তির নাম রবীন্দ্র (রোহতক) ও অরুণ (সোনিপত)। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গ্লক পিস্তল, একটি জিগানা পিস্তল এবং বেশ কয়েকটি গুলির কার্তুজ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যু Gust দেরই গোল্ডি ব্রার গ্যাংয়ের সক্রিয় सदस्य ছিলেন। অভিযানের সময় তারা আত্মসমর্পণ না করে পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে গুরুতর জখম হয় এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা মৃত্যুবরণ করে।
এর আগে, ১২ সেপ্টেম্বর ভোর ৩টার দিকে আশেপাশে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই ব্যক্তি মোটরবাইকে করে এসে প্রায় ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি চালায়। এই ঘটনার পরে সেদিনই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন দিশার পরিবারের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করে কঠোরভাবে শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দিশার বাড়িতে গুলি চালানোর কারণ হিসেবে গোল্ডি ব্রার ও লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং দাবি করেছিল তারা হিন্দু ধর্মকে অপমান করে থাকলেও, দিশা বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের প্রমাণ কিছুই দেয়নি। গোল্ডির মতে, দিশার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত একজন আধ্যাত্মিক গুরু ও কিছু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। গোল্ডি দাবি করে, এই হামলা হিন্দু ধর্মের অপমানের প্রতিশোধ হিসেবেও হতে পারে। তবে পুলিশের ধারণা, এই ঘটনা পরিকল্পিত অপরাধ ও ধর্মীয় কোনও কারণ নয়।