আওয়ামী লীগ জাতীয় সংগঠনটির নিষিদ্ধ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া এবং হাতবোমা ফাটানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তেজগাঁও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম আশরাফুল আলম আসকরকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, তদন্ত কর্মকর্তা তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কারাগারে রাখা নির্দেশ দেন। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসকের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী ঈসমাইল হোসেন পাটোয়ারী জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার তা ব refuse করেছেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা গেছে, তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ উপস্থাপনায় বলা হয়, আসকর নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং মিছিল আয়োজনের অর্থ যোগান দিচ্ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যার সত্যতা যাচাই-বাছাই চলছে। অনুমান করা হচ্ছে, জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পলিয়ে যেতে পারেন।
অধ্যাপক আসকর তেজগাঁও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান। এর পাশাপাশি তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। ৭ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবন এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনাও এখানে উল্লেখ্য।
এই মিছিলের সময় হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তেজগাঁও থানায় মামালা হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, ওই দিন সকালে তেজগাঁওয়ের মনিপুরীপাড়ার পার্ক টাউন রেস্টুরেন্টের সামনে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানারসহ মিছিল করে। পরে তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য পরপর দু’টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজনকে আটক করলেও বেশিরভাগ কর্মী পালিয়ে যায়।
বিষয়ক পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আসকরকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে দুপুরে আদালতে হাজির করে পুলিশ তাকে কারাগারে রাখার আবেদন জানায়।