বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা আজকাল সমাজ পরিবর্তন ও বিপ্লবে উৎসাহী, তাদেরকে অবশ্যই নিজেদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। মূল চাবিকাঠি হলো সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানো—তাহলেই সত্যিকারের পরিবর্তন সম্ভব। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমির সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে কমরেড বদরুদ্দীন উমরের জীবনাবসানে আয়োজিত শোকসভায় এ কথাগুলো তুলে ধরেন। ফখরুল বলেন, মধ্যে আমি বদরুদ্দীন উমরের সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করতে পারিনি। তবে তার বাসায় গিয়ে উপদেষ্টা আবরার সাহেবের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বদরুদ্দীন উমর তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার আদর্শ ও সংগ্রামের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। আমরা যারা বর্তমান রাজনীতি করছি, তাদেরকে তিনি অত্যন্ত সম্মান করতেন, কারণ তিনি কখনো প্রভুর মতো কেম্প্রামাইজ করেননি। নতুন প্রজন্মের কাছে উমর সাহেবের আদর্শ কতটুকু পৌঁছেছে, সে বিষয়টি অনেকে বুঝতে পারেননি। আলাপচারিতায় এক প্রশ্ন উঠে আসে, সংগঠন কত গুরুত্বপূর্ণ—উল্লেখ্য, আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, সত্যিকার বিপ্লব তখনই সফল when সংগঠন শক্তিশালী থাকলে। বর্তমান সমাজে যে হতাশার কারণ রয়েছে, এর মূল কারণ হলো সংগঠনের অভাব। যদি কোনও বিপ্লবী সংগঠন না থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই বিপ্লবের সফলতা আসে না। তিনি আবার বলেন, যারা আজ বিপ্লব করতে চান, সমাজ পরিবর্তন করতে চান, তাদের অবশ্যই সংগঠনকে আরও দৃঢ় করতে হবে। আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। বদরুদ্দীন উমরের ভাষায় বলতে গেলে, মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছানোই সফলতার মূল চাবিকাঠি। শোকসভার শুরুতেই এক মিনিট নীরবতা পালন করে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় সংগীতের মাধ্যমে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল সংগীত পরিবেশিত হয়। আরও একটি ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়। শোকসভায় বক্তব্য দেন মাহবুবউলাহ, কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, ড. আকমল হোসেন, কমরেড সজীব রায়, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে।