বর্তমান প্রজন্ম ও ভবিষ্যতের প্রজন্মকে বুঝে নিতে হবে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি সাধারণ আন্দোলন ছিল না, বরং এটি ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃढ़প্রতিজ্ঞ থাকা ও সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তিশালী সংগ্রাম। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সেই জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি নতুন দিগন্তের সংকেত, যা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও স্বপ্নকে একত্রিত করে জাতিকে নতুন পথে হাঁটার দিশা দেখিয়েছে। শনিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর পাশে মাওয়া প্রান্তে, ছাত্র-জনতার এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে তৈরি ম্যুরালে ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ শিরোনামে গ্রাফিতি আঁকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে এই গৌরবময় ইতিহাসের চেতনা, আত্মত্যাগ ও বীরত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণরা যেন এই স্মৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়, এটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে শহিদদের ওই ত্যাগ ও সাহসিকতাকে স্বদর্পে স্মরণ করা এবং তাদের স্বপ্নের দেশ গড়তে তাদের আদর্শকে ধারণ করা। স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য ন্যায়, সমতা ও মানবিকতার অবিচল প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জুলাই মাসের এই পুনর্জাগরণ ও তরুণদের উৎসব-২০২৫ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে গুরুত্ব সহকারে স্মরণীয় করে রাখতে এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরামর্শে এবং নির্দেশনায় সম্পন্ন। এর জন্য এই দুই উপদেষ্টা বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে স্থাপিত ম্যুরালে এই গ্রাফিতি আঁকা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের আবেগের বাঁক। দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে, পদ্মা সেতুর এই দুই প্রান্তে এই চিত্রকর্মের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অনেকে।