বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছর ধরে পতিত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আন্দোলন চালিয়ে এসেছে এবং তাদের পতন ঘটিয়েছে। সেই স্বৈরাচারকে অবশেষে পালিয়ে যেতে হয়। এখন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে, এবং বিএনপি বহু আগেই সেই সরকারের প্রস্তাবনাগুলোর কথা বলে এসেছে। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, অনেক দলের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকলেও বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে কারো কোন মতপার্থক্য নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা সাধারণ মানুষের কাছে নিজের কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব স্বচ্ছভাবে জানাতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে এই কাউন্সিল সফল করেছি। যদি আমরা আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে পুরো দেশবাসীর সমর্থন নিয়ে এক বিশাল জনসমর্থন আদায় করতে পারবো। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মান্য করা আমাদের সর্বোচ্চ কর্তব্য। তারা যেন ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনও অপতৎপরতা না চালায়, এবং দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে।
তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে আরও বলেন, কারো ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য দলের নাম বা বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। সকলের উচিত এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা।
তিনি আরও বলেন, যারা দলীয় পদ পেতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের জন্য নির্বাচনী ভোট তখনই গুরুত্বপূর্ণ হবে যখন জনগণ তাদের পাশে থাকবে। তাই জনসমর্থন পাবার জন্য সব সময় জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, তাদের পাশে থাকতে হবে।
সেখানে তিনি দুটি বিষয়ে কঠোর প্রতিজ্ঞা ঘোষণা করেন। প্রথম, যে কোনও মূল্যে দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত থাকতে হবে। দ্বিতীয়, দলকে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অপব্যবহার হওয়া রোখা নিশ্চিত করতে হবে। তারেক রহমান বলেন, দলের স্বার্থে যেন কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে না পারে, সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।