বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো দাবি করছে যে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ তাদের পক্ষে রয়েছে। যদি এমন বাস্তবতা থাকে, তাহলে আসলে কেন সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পান তারা? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগসহ অন্য ফ্যাসিবাদী দলগুলোর বাইরে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে হাসিনার সরকার। দেশের জনগণ এই অপচেষ্টা মানবে না এবং তারা চান—অসাধু এবং অসাংবিধানিক দলগুলোকে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নয়, আইনানুযায়ী নিষিদ্ধ করা হোক, যাতে আবার কখনো ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ না থাকে। এ মন্তব্য বিএনপি সদর উপজেলা দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ সমজিদ সংলগ্ন বাইতুস-শরফ মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিকভাবে হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারকে তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির মূল শক্তি বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র করে এই সরকারকে কায়েম রাখা যাবে না। দেশবাসীর অতীতের সংগ্রাম ও রক্তের মূল্যায়নে দেশের গণতন্ত্রের জন্য সবাই একত্রে থাকতে হবে। জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর অবৈধ ও অসৎ রাজনীতির ফাঁদে পা দেয় אחתদানে এই দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না বলেও তিনি দৃঢ় আশ্বাস দেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার হাবিবুর রহমান। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, এডভোকেট অহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সামন year দুর্গাপূজা ঘিরে তিনি বলেন, একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্র হচ্ছে যাতে করে এই উৎসবের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হয়। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রত্যেকটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, হিন্দুরা বিএনপিকে ভোট দেয় না—এই ধারণা ভুল। বিএনপি সব ধর্মের মানুষের মিলনস্থল। আগামী নির্বাচনে জনগণ সেটাই প্রমাণ করবে—তারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান—সবার জন্য কাজ করে। তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫০ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সম্মেলনের শেষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদানকারী নেতাদের সংখ্যা এবং প্রার্থীদের বিস্তারিত নির্ধারিত হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এতে ২ জন সভাপতি, ৩ জন সাধারণ সম্পাদক এবং ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ৭১০ নেতার এই নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।