অবশেষে গত সপ্তাহে পর্তুগালের সরকারের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে দেশটি। এই ঘোষণা একদিকে যেমন ফিলিস্তিনের জন্য নতুন এক পشة অঙ্গীকার, অন্যদিকে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতো পর্তুগালও এ ব্যাপারে সংহতি প্রকাশ করছে। আগামী রবিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি ঘোষণা করবে।
পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো র্যাঙ্গেল সম্প্রতি লিসবনে এক বক্তব্যে বলেছেন, ফিলিস্তিনের জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যাপারটি এখন তাদের বিবেচনায় রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই সিদ্ধান্তের পিছনে মূলত আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনকে লক্ষ্য করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পর্তুগাল আন্তর্জাতিক মহলে অন্যতম উন্নত দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য। এই জোটের বেশ কিছু দেশ—যেমন সুইডেন, সাইপ্রাস, স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে—আগে থেকেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশেষ করে গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষের শুরু থেকেই স্পেন এবং তার পরে এই স্বীকৃতির পথে এগিয়েছে অন্যান্য দেশ। স্পেনের পর বাংলাদেশও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবার সেই পথে হাঁটছে পর্তুগাল, যা ইইউর চতুর্থ দেশ হিসেবে এই স্বীকৃতি দিচ্ছে।
তবে, লিসবন সতর্কভাবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়ে ইইউ যে অবস্থান নেবে, লিসবন সেটাকেই সমর্থন করবে এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপ নয়। সূত্র: রয়টার্স।