অ্যাশেজ ক্রিকেট এশিয়ান কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিজের গৌরব ফিরিয়ে আনল। সুপার ফোরে উঠার পর, বাংলাদেশ দলের সমর্থকরা আগের দিন থেকেই আশা করেছিলেন যে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রমাণ করবে। গ্রুপ পর্বে খেলার নির্দিষ্ট মানসম্মত পারফরম্যান্স না পাওয়ায় বেশ কিছু অস্বস্তি এবং সন্দেহের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে তারা দেখাল, তাদের কাছে হার মানা কঠিন সত্যি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অসাধারণ দলগত প্রচেষ্টায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই জয়টি যেন তাদের প্রতিশোধের ইঙ্গিত।
শুরুতেই শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকা ঝলমলে হাফ সেঞ্চুরির পরও, মুস্তাফিজুর রহমানের বলেই বাংলাদেশ তাদের লক্ষ্য ১৬৮ রানে আটকে দেয়। ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের জন্য ভাল শুরুর বিকল্পটা ছিল না কারণ, ইনিংসের প্রথম ওভারেই টানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায়। তবে লিটন দাস ও সাইফ হাসান দুরন্ত আক্রমণ চালিয়ে দলের জয় পাতে জন্য পথ তৈরি করে দেন। সাইফের পর হাফ সেঞ্চুরি করে হৃদয়ও নিজের ব্যাটিং দক্ষতা দেখান, এবং তাদের দুজনের ইনিংসে বাংলাদেশের পুঁজি প্রতিষ্ঠিত হয়। পঞ্চাশের কাছাকাছি পৌঁছে চেষ্টা চালিয়ে যান, আর এটা নিশ্চিত করে যে বাংলাদেশ তার জয়ের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের ইনিংস কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে শুরু হয়, কারণ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও প্রথম ওভারে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারান। তিনি পাথুম নিশাঙ্কার সুদক্ষ ডেলিভারিতে ঝলক দেখাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে আউট হন। তবে ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্তভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। লিটন ও সাইফ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন—বিশেষ করে সাইফ চার ও ছক্কায় দ্রুত রান যোগ করেন। এই দুজন পাওয়ার প্লেতে দলের জন্য ৫৯ রান সংগ্রহ করেন, যা ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হলে তারা উইকেট হারায় লিটন ও সাইফের ঝাঁপিয়ে পড়ার পর।
সাইফ তার প্রত্যাশিত হাফ সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন ৩৬ বলে, আর হৃদয় ধীরে ধীরে খেলতে থাকেন। একদিকে তিনি ঝোড়োভাবে আঘাত হানেন, অন্যদিকে তার সাজানো জুটি সতর্কতার সঙ্গে ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দেয়। এরপর, শ্রীলঙ্কার বলের বিপরীতে হৃদয় দ্রুত রান তুলতে থাকেন—৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান, যা তাঁর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দীর্ঘ দিন পর ফিরেছে। সক্রিয় ভাবে খেলতে থাকা হৃদয় ও শামীম হোসেন শেষ মুহূর্তে ধীরগতি না দেখিয়ে দ্রুত রান সংগ্রহে মনোভাব নিয়ে একে অপরের সঙ্গে ঘরোয়া সঙ্গীতে অন্যরকম স্পন্দন বাড়ান।
শেষে, নাসুম আহমেদ ও শামীম হোসেন দলকে জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে বলে মনে করে ক্রিকেট অনুরাগীরা।
অপরদিকে, শ্রীলঙ্কার ইনিংস শুরুও ছিল উড়ন্ত। ওপেনিং জুটিতে তারা ৪৪ রান তুলে ঝড়ো সূচনা করে। তবে, এর পরে ধীরগতি শুরু হয়। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা খুব ভালো শুরু করলেও, শেষ পর্যন্ত ১৭০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ডেথ ওভারে বেশ দক্ষভাবে বোলিং করেন এবং তিন উইকেট তুলে নেন। মূলত, শ্রীলঙ্কার শানাকা কিছুটা ধীরগতির হলেও শেষ দিকে রানের চালানি চালান এবং অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলে যান। তবে, বাংলাদেশ তাদের ধারাবাহিক সংগ্রামে নিজেদের মানপ্রমাণ করে বিশ্বের শক্তি দেখিয়েছেন, এবং এই জয়ে তারা সুপার ফোরে পৌঁছানোর পথে একদ langkah এগিয়ে গেল।