বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশেষে নতুন সংযোজন করেছে দেশের ক্রিকেটের নির্বাচক প্যানেলে। পুরুষ দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক পেসার হাসিবুল হোসেন শান্ত। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং এই সম্মাননা বাংলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আনন্দের খবর হলো, নারী দলের নির্বাচক হিসেবে প্রথমবারের মতো নিয়োগ দেওয়া হলো একজন নারী, তিনি সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতунিকে। তিনি এখন আমাদের নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তারা দুজনেই কাজ করবেন বর্তমান প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপনের সঙ্গে।
আজ বিকেলে বিসিবির জরুরি সভার শেষে বোর্ডের মিডিয়া ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসিবুল শান্ত জাতীয় দলে খেলাধুলার সঙ্গে সঙ্গে বয়সভিত্তিক দলে নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছেন। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে জাতীয় দলে আনতে সহযোগিতা করেছে। অন্যদিকে, সালমা খাতুনের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো নারী দলের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সালমা ২০১৪-১৫ সালে আইসিসির সেরা অলরাউন্ডার নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন। মিঠু মনে করেন, এই নতুন সিদ্ধান্ত নারী ক্রিকেটের উন্নয়ন ও দলগত ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সাবেক ওপেনার হান্নান সরকার জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন, কোচিংয়ে মনোযোগী হওয়ার জন্য। এরপর থেকে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও আবদুর রাজ্জাক ধীরে ধীরে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট দল ব্যস্ত ছিল বড় বড় সিরিজ খেলায়—জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সময়েই শূন্যপদে নতুন নির্বাচক নিয়োগের জন্য জোর আলোচনা চলছিল। অবশেষে বিসিবি সেই শূন্যতা পূরণ করল।
এদিকে, নারী ক্রিকেটের জন্য প্রথমবার আলাদা নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার সালমা খাতুন। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন তিনি এবং দেশের জন্য অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন। মাঠের বাইরে থেকে এবার তিনি নারী ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ গঠনে বড় দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পুরুষ ও নারী দুই দলের জন্যই একসঙ্গে নতুন নির্বাচক নিয়োগ দেওয়া হলো। হাসিবুল শান্তর অভিজ্ঞতা জাতীয় দলের পেস আক্রমণ ও টিমের কৌশলগত দিকগুলোকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখাতে সহায়তা করবে বলেই মনে করছেন বোর্ডের officials। অন্যদিকে, সালমা খাতুনের নেতৃত্ব ও খেলার অভিজ্ঞতা নারীর ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে—এমনটাই আশা করছেন বিসিবি। এই নিয়োগ দুই দলের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।