জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার সমর্থকরা এখনও চুপচাপ নেই। তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। একদিকে একটি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন জিতাতে পিআর পদ্ধতিতে প্রচার চালানো হচ্ছে, যা মূলতঃ আওয়ামীলীগের কূটচাল। এজন্য আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে ফ্যাসিবাদ ও মৌলবাদকে রুখে দিতে হবে। খুলনা-৫ আসনের ডুমুরিয়া ও ফুলতলার বাসিন্দারা খুবই সৌভাগ্যবান; কারণ এই অঞ্চলের জনগণের প্রতি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তরিক মনোযোগ রয়েছে। যদি ধানের শীষ প্রতীক বিজয়ী হয়, তাহলে এই ত্রিপাক্ষিক অঞ্চলে ডুমুরিয়া-ফুলতলাতেই সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হবে, এ বিশ্বাস আমি সকলের মাঝে ব্যক্ত করছি। তাই ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতারণা থেকে বিরত থেকে সকল ধর্মের ও সম্প্রদায়ের মানুষের একত্রিত শক্তিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা, ১৪টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি। প্রাক্ দূতাবাসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতাদের উপর আওয়ামী দখলদার সন্ত্রাসীদের অপ্রতুল আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আরও গণহত্যা চালানো আওয়ামী লীগের স্থান একটুও থাকবে না। হাজার হাজার ছাত্র-জনতা হত্যার পরও তাদের দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ মোশাররফ হোসেন মফিজ, জেলা বিএনপি’র সদস্য হাফিজুর রহমান হাফিজ, মোঃ মাহবুবুর রহমান, সরদার আব্দুল মালেক ও আশরাফুল ইসলাম নূর, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা শেখ সরোয়ার হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ মশিউর রহমান লিটন, শেখ ফরহাদ হোসেন, জিএম মিজানুর রহমান লিটন গোলদার, মোঃ আঃ রশিদ শেখ, জিএম মশিউর রহমান, অরুণ গোলদার, শেখ শাহিনুর রহমান, শেখ রেজওয়ান হোসেন, শেখ মতিয়র রহমান বাবু, মোঃ রফিকুল ইসলাম, খান আছাদুজ্জামান মিন্টু, শেখ শাহানুর রহমান ও উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক বিএম সৈয়দ আহমেদসহ আরও অনেকেই।