ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, গাজা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কেবল military force এড়ানো যাবে না। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী বছর দুয়েক ধরে হামাসকে দমন করতে গাজায় যে অভিযান চালাচ্ছে, তা স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্য অর্জনে পর্যাপ্ত নয়। তিনি জানান, এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে কূটনৈতিক উদ্যোগের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা অপরিহার্য।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া এক ভাষণে ম্যাক্রোঁ এই মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসছে, যার লক্ষ্য ছিল হামাসকে সম্পূর্ণ নিষ্প্রভ করা। তবে, এখনো হামাসের হাজার হাজার যোদ্ধা জীবিত রয়েছে, যা পরিস্থিতির মাহাত্ম্যকে আরও জটিল করে তুলছে। এ কারণে তিনি মনে করেন, কেবলমাত্র সামরিক পদক্ষেপ দ্বারা এই সংকটের সমাধান আসন্ন নয়।
ম্যাক্রোঁ আরো বলেন, এই পরিস্থিতির সমাধানে সর্বাত্মক এবং বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে অবিলম্বে ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে হবে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ অবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র শক্তিশালী সামরিক ব্যবস্তা দীর্ঘমেয়াদি শান্তি আনার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ফ্রান্স ও ইসরায়েল যৌথভাবে একটি বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজিত করে, যেখানে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ও মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আলাপ হয়। এই সম্মেলনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগালসহ বেশ কিছু দেশ অংশ নেয়, তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলন বর্জন করে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন