শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তানের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো। এশিয়া কাপের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয় লাভ করে। তিন ম্যাচের তিন জয়ে শ্রীলঙ্কা গ্রুপ পর্বের অপরাজেয় থাকলেও সুপার ফোরে এসে হোঁচট খায়। বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারানোর পর পাকিস্তানের জন্য এই জয় অপরিহার্য ছিল যাতে তারা ফাইনালের পথে এগিয়ে যেতে পারে। শ্রীলঙ্কার জন্য এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, কিন্তু ব্যাটিংয়ে তারা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা ব্যতিক্রম ছিলেন, তারা কিছুটা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন কিন্তু যথেষ্ট ছিল না। অন্যদিকে, পাকিস্তানের পেস সুইং আক্রমণ শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের জন্য কষ্টের মুখ হিসেবে প্রমাণিত হয়। শাহীন আফ্রিদি, হুসাইন তালাত ও হারিস রউফের বোলিংয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকেন। মাঝখানে, কামিন্দু মেন্ডিসের হাফ সেঞ্চুরির অসামান্য ব্যাটে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৩ রানে। পাকিস্তানের বোলাররা দ্রুত উইকেট নিতে শুরু করে, সাইম আইয়ুবও দ্রুত ফিরে যান। তবে, পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ধৈর্য্য দেখিয়ে জুটি গড়ে টার্ন নেয়। হোসাইন তালাত ও মোহাম্মদ নাওয়াজের অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি পাকিস্তানকে জেতার সম্ভাবনা তৈরি করে দেয়। ম্যাচের শুরুতে উজ্জীবিত পাকিস্তানের ওপেনার শাহিবজাদা ও ফখর দ্রুত ভাল শুরু করেন, কিন্তু মাহিশ থিকশানা মারাত্মক স্পেল নিয়ে উইকেট পেয়েছেন। এরপর পাকিস্তানের দলে উত্তেজনা ছিল, তবে তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হন। শেষ দিকে, তালাত ৩২ ও নাওয়াজ ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন, যা পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করে। শ্রীলঙ্কার শুরুটা হতাশাজনক ছিল, কুশল পেরেরা ও দাসুন শানাকা দ্রুত ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের ওপেনারদের। কুশল পেরেরা ১২ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান, আর শানাকা ও নিশাঙ্কা দ্রুত আউট হন। দলের ব্যর্থতার মধ্যে, কামিন্দু ও হাসারাঙ্গা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে জয়ের পথ রুখতে পারেননি। পাকিস্তানের জন্য আফ্রিদি তিনটি, রউফ ও তালাত দুইটি করে উইকেট লাভ করেন। এর ফলে, পাকিস্তান সুপার ফোরে টিকে থাকলো এবং নিয়মিত খেলা চালিয়ে যেতে পারলো।