নতুন বিসিবি সভাপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রে। জনপ্রিয় সাবেক দুই অধিনায়ক, তামিম ইকবাল এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মধ্যে কে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভাপতি হবেন—এই প্রশ্নে ক্রিকেটপাড়ায় চলছে ব্যাপক জল্পনা। এই নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন আরও একজন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
আশরাফুল মন্তব্য করেন, অভিজ্ঞতার দিক থেকে বুলবুলই এগিয়ে আছেন। কারণ, বুলবুল শুধু একজন খেলা-শিক্ষকই নন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট প্রশাসন এবং কোচিংয়ে যুক্ত আছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে। অন্যদিকে, তামিমের অভিজ্ঞতা মূলত মাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
তিনি বলেন, সোমবার গণমাধ্যমের সামনে, সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো—বর্তমান ও অতীত দুই সভাপতিই ছিলেন সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক। বুলবুল ভাই এবং তামিম, দুজনেই সাবেক অধিনায়ক। আমরা তামিমের কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা শুনছি—সে কী কি উদ্যোগ নিতে চায়। অন্যদিকে, বুলবুল ভাই ইতিমধ্যে চার মাস ধরে বিসিবি’র বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত।
আশরাফুল আরও বলেন, বুলবুল ভাইয়ের ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রজেক্ট সকলের নজরে এসেছে। Bangladesh Cricket Board ইতিমধ্যে ১৬ বছর ধরে লেভেল-৩ কোচিং কোর্স ও অ্যাম্পায়ার কোর্স চালু করতে পারেনি, যা দেশের ক্রিকেট উন্নতির জন্য অপরিহার্য। এসব উদ্যোগ নিয়েছেন বুলবুল ভাই।
তিনি স্পষ্ট করেন, তাদের দুইজনেরই যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। যেখানে তামিমের অভিজ্ঞতা মূলত মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, বুলবুলের অভিজ্ঞতা বিস্তৃত ও গভীর। তিনি আইসিসির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালো জানেন। ব্যক্তিগতভাবে, আশরাফুল বুলবুল ভাইয়েরপক্ষে আছেন—তার অভিজ্ঞতা এবং সম্মানজনক চরিত্রের কারণে।
তবে, তামিমের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেননি আশরাফুল। তিনি বলেন, তামিম অবশ্যই যোগ্য ও ভালো কোণ থেকেই উঠে আসছেন। তিনি বোর্ডের পরিচালকমণ্ডলীতে যেতে পারেন। ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য অনেক ক্ষেত্র আছে—শুধু সভাপতি হতেই হবে এমন কোনো কথা নয়। বুলবুল ভাই যদি অব্যাহত থাকতেন, তাহলেও তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারতেন। মূল লক্ষ্য সবসময় দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন এবং sourireপ্রতিষ্ঠা—এটাই আমাদের লক্ষ্য। দুইজনকেই শুভকামনা রইল।