শনিবার মধ্যরাতে সিঙ্গাপুর থেকে বিমানে করে জুবিন গার্গের মরদেহ দিল্লিতে পৌঁছায়। এরপর রোববার সকালে সেটি আসামের গুয়াহাটিতে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে কফিনবন্দি তাঁর নিথর দেহ দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জুবিনের স্ত্রী গরিম সৈকিয়া গার্গ।
জুবিনের মরদেহ গুয়াহাটিতে নেওয়ার আগে কাহিলিপাড়ার নিজ পরিবারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তার অসুস্থ ৮৫ বছর বয়সী বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পরে, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবাই তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তরা ভিড় জমিয়ে প্রিয় গায়ককে শেষবারের মতো দেখতে যান।
জুবিন গার্গ দীর্ঘ সংগীত জীবনে ৪০টির বেশি ভাষায় প্রায় ৩৮ হাজার গানে গায়ক হিসেবে তার অবদান রেখেছেন। তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ইমরান হাশমির ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ইয়া আলি’ গান দিয়ে, যা গোটা ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আসাম রাজ্যের ‘রাজপুত্র’ হিসেবে পরিচিত এই সংগীতশিল্পীকে দেশের বহু মানুষ ভালোবাসতেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা ভারত শোকাভিভূত।
জুবিন গার্গের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে আসাম সরকার। আসাম সরকার ঘোষণা করেছে ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, এই সময়ে কোনও সরকারি বিনোদন বা সবশেষ আনুষ্ঠানিকতা হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে আবার ফিরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী।
অবশেষে, শেষকৃত্যের স্থান ও সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আসাম সরকার রোববার সন্ধ্যায় এক বৈঠকে তাঁর দাহের স্থান নির্ধারণ করবেন বলে জানা গেছে।