আদালত মোহাম্মদ সাইফুল আলম সহ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারির নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ প্রদান করেন।
নোটিশ জারির জন্য চিহ্নিত অপর দুই ব্যক্তির মধ্যে আছেন, সাইফুল আলমের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান।
দুদকের পক্ষ থেকে উপপরিচালক তাহসিন মুনাবিল হক এই আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে নানা ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে একটি ভুয়া কোম্পানি, ‘এএম ট্রেডিং’, প্রতিষ্ঠা করে জাল নথিপত্র তৈরি ও ব্যবহার করে আসছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে তারা ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সাইফুল আলমের দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ এস আলমের সুপার ইডিবল ওয়েল কোম্পানির স্বার্থে স্থানান্তর বা পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে মূলত ৩৪০ কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়, যেমন দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর আওতাও।
আন্দোলন চলাকালে তদন্তকারীরা বেশ কয়েকবার আসামিদের আটক করার চেষ্টা করেছেন, তবে তারা এখনো বিদেশে পলাতক। এ কারণে সাইফুল আলম, আব্দুস সামাদ ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন জানানো হয়।
সাথেসঙ্গে, ৯ জুলাই আদালত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৫৩টি ব্যাংক হিসাবের অর্থ অবরুদ্ধের নির্দেশ দেয়। ওইসব ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে রয়েছে ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা।