বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী এক বিশাল ক্যাম্পেইন শুরু হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকাতেও এ অভিযানের সফলতা নিশ্চিত করতে গত বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার।
সভায় বলা হয়, টাইফয়েড একটি স্পর্শকাতর ও প্রতিরোধযোগ্য রোগ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ রোগের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো ও টিকাদানের ব্যাপারে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষকে গভীরভাবে অবহিত করা জরুরি। অন্যতম লক্ষ্য হলো, সাধারণ মানুষ যাতে দ্রুত এবং সহজে এই টিকা গ্রহণে উৎসাহিত হয়।
কর্মসূচির প্রথম দুই সপ্তাহ (১২-৩০ অক্টোবর) এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে, আর পরের দুই সপ্তাহ (১-১৩ নভেম্বর) এ কমিউনিটিতেও নিয়মিতভাবে এই টিকা প্রদান চালু থাকবে। ক্যাম্পেইনের আওতায় মূলত নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু বাসিন্দাদের এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে, যেখানে জন্মনিবন্ধন সনদের ১৭ ডিজিটের তথ্য ব্যবহার করতে হবে। www.vaxepi.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। উল্লেখ্য, টাইফয়েডের এই টিকা হালাল সনদপ্রাপ্ত।
সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরীফ আসিফ রহমান, কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-মাসুম, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ শাম্মীউল ইসলামসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা, স্কুলের শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা। সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুর রহমান সজিব একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। এ অভিযানটি যাতে পর্যাপ্ত ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়, সে জন্য সূক্ষ্ম সমন্বয় ও দায়িত্বশীলতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মোট মিলিয়ে, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের শিশুদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা রোগের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরক্ষা জোরদার করবে।