সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের জন্য খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই পদ্ধতিতে যদি একটি সরকার গঠিত হয়, তাহলে সেটি সত্যিই ফ্যাসিস্ট বা দুর্বলভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা সরকার হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে দেশ দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা হারাতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি শুক্রবার দুপুরে ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন প্রকাশ করেছেন, পিআর পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য একদিকে বেশি আসন পাওয়া, অন্যদিকে দেশের মধ্যে অসঙ্গতি এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, যাতে বেশিরভাগ মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার না গঠিত হয়। বিশেষ করে, যারা সাধারণত কম জনপ্রিয়, তাদের জন্য এই পদ্ধতি সুবিধাজনক বলে ধারণা করেন তিনি।
অতীতে তিনি বলেন, সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, পদ্ধতি যেকোনো ভোটের জন্য অনুসরণ করা হবে, তা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে হোক। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, সরাসরি ভোটের মাধ্যমে মানুষ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জামায়াতের মত দলগুলো সংবিধান পরিবর্তনের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তাই এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।
আলোচনায় এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে সালাহউদ্দিন জানান, দেশের মোট ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে ভিন্ন ধরনের ধারণা রাখে। তবে, জামায়াত ইসলামী বলছে, ৭০ শতাংশ মানুষ এই পদ্ধতিটি চায়। এইসব বিভ্রান্তিকর যুক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব নয়, বলেও তিনি মন্তব্য করেন।