খুলনা বিভাগে টাইফয়েড টিকা প্রাকটিসের উদ্যোগের ক্ষেত্রে গত শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সুযোগে খুলনা বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয় প্রেসক্লাবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক। তিনি বলেন, টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা কার্যকর গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার। সরকারি উদ্যোগে এই ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপ্রতুল নয়। গুজব রোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টিকা গ্রহণে মানুষের মনোভাব ইতিবাচক করতে প্রচার-প্রচারণা আরও জোরদার করতে হবে। তিনি আরও জানান, টাইফয়েড জ্বর একটি সংক্রামক রোগ হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য। টিকা নেয়ার কোনও ভয় নেই—এমন আলোচনায় তিনি সবাইকে উৎসাহ দেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণের জন্য। মহাপরিচালক বলেন, শিশুদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে সকলের সহযোগিতা কাম্য।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, ইউএনবির প্রতিনিধি শেখ দিদারুল আলম, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান এবং সিভিল সার্জন দপ্তরের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন। বিস্তারিত 내용 উপস্থাপন করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়ক ডাঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম, যিনি টিকা কার্যক্রমের ব্যাপারে পয়েন্টসভার প্রেজেন্টেশন দেন।
আলোচিত হয়, ক্যাম্পেইনের আওতায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৭ শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনলাইনে ১৩ লাখ ১০ হাজার ৬৯ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। শিশুদের জন্য নির্ধারিত টিকা কার্যক্রমের সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে, এরপর ১ থেকে ১৩ নভেম্বর কমিউনিটিতে এই টিকা প্রদান করা হবে। ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে একটি ডোজ টিকা দেয়া হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য নিয়ে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন। এই মাধ্যমে নিবন্ধনের জন্য ১৭ ডিজিটের তথ্য প্রদান করতে হবে। কর্মশাপে অংশ নেন খুলনার বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।