ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতী আমানুল্লাহ অভিযোগ করেছেন যে, বর্তমান নির্বাচনী পদ্ধতি মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই পদ্ধতিতে আমাদের অনেক সময় ডামি ভোট ও রাতে ভোটদান দেখতে হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে একজন ফ্যাসিস্ট শাসকের জন্ম দেয়ার মতো। তিনি দৃঢ়ভাবে বলছেন, এই ব্যর্থ ও অনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে আর কোনো নির্বাচন অমে পছন্দ নয়। বরং তিনি এমন একটি পদ্ধতি চান যেখানে আর কোনো ফ্যাসিস্ট ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত নয়, যার জন্য তিনি প্রস্তাব করেন পিআর (প্রোপোর্টশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু করার প্রয়োজন। আমিনুল্লাহ বলেন, সরকারের তিনটি অঙ্গিকার ছিলো—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। যদি এই তিনটি অঙ্গিকা বাস্তবায়িত হয়, তবে তিনি বলেন, আগামীকালই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার পূরণ হয়নি। বরং, দুর্নীতি ও কোটি কোটি টাকা পাচার এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসিনার শাসনামলে আইয়াতে জাহেলিয়াতের বর্বরতার চিত্র দেখা যাচ্ছে। ৫ আগস্ট আমাদের জন্য এক সুযোগ তৈরি হলেও, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার বা বিচার ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয়। এই পরিস্থিতিতে পুরোনো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে এত মাতামাতির কোন অর্থই দেখা যাচ্ছে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসির আশঙ্কা বাড়ছে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে বিচার করার দাবিতে কেন্দ্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৪টায় সবুজবাগ মসজিদ চত্বরে সাধারণ মানুষ অবস্থান নেন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর সাথে আরও বেশ কয়েকটি থানায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ সম্পন্ন হয়।
শনিবারের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, যেমন মোঃ নুরুজ্জামান বাবুল, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, মোহাম্মদ শাহজাহান পাটোয়ারী, মোঃ আব্দুস সোবাহান, মোঃ নাজমুল ইসলামসহ অনেকে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের জনগণের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধুভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। শেষ পর্যায়ে এসব বিক্ষোভ ও সমাবেশগুলো দোয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় ও অন্যান্য থানায় একযোগে একই ধরনের কর্মসূচি পালিত হয়।