দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয়ের জন্য নির্ধারিত ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামতেই শুরুটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ডিপ আউট হন। শাহীন আফ্রিদির শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে নাওয়াজকে ক্যাচ দেন তিনি। মাত্র দুই বলে রানের খাতা খুলতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর হারিস রউফের ওভারে সাইফ আলী ছক্কা ও চার মারেন, যা দলের মানসিকতাকে somewhat পুনরুদ্ধার করে। তবে, তৃতীয় ওভারে তওহীদ হৃদয় পয়েন্টে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে চাওয়ার সময় স্ট্রাইক প্রান্তে ফিরলেও, ফিল্ডারের দুর্বল ফিল্ডিংয়ের কারণে জীবন পান। এরপর তিনি আউট হন, তবে সাইফ খেলেছেন আগের চেয়ে বেশি সাবধান ও মারমুখী, পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ১৮ রান করে। পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের ব্যাটিং খুবই খারাপ হয়ে যায়; তিন উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৩৬ রান তুলতে। প্রমোশন পাওয়া ব্যাটার শেখ মেহেদী ব্যর্থ হন। সোনা জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি, বিশেষ করে সোহান ২১ বলে ১৬ রান করে আউট হন। দলীয় সাফল্য পেতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে অলআউট হয়। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি ও হারিস রউফ। এই হার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের আসর থেকে বিদায় এবং পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার সুযোগ তৈরি হয় এশিয়া কাপে।