পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পরিবারের অর্থপাচার মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর তৃতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়ার ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম রিমান্ডের জন্য পাঁচ দিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের কিছু মুহূর্ত পরে অসুস্থ হয়ে তিনি কাঠগড়ায় থাকা বেঞ্চে পড়ে যান। একে অবশ্য পরে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় কাঁধে তুলে নিয়ে হাজতখানায় নেয়া হয়।
প্রকৃত ידע থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ পুলিশ বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহীন রিশতা ও মেঝো কন্যা তাহসীন রাইসাকে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাচার করার অভিযোগে মামলা করে। মামলার তদন্তের সময় দুদক বেনজীরের অর্থপাচার ও এনায়েতের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়।
এর আগে, ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী ও তার সহযোগী গোলাম মোস্তফা আজাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
অন্যদিকে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এনায়েতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুটি দিনের রিমান্ডও ঘোষণা করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় এনায়েত করিম চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা যায় ফোনগুলোতে সরকারের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকানো রয়েছে।
আটক সে সময় এনায়েত জানান, তিনি একজন বিশেষ দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি আরও জানান, ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দেশে এসে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন।