খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঝলমলে দৃষ্টান্ত বিরাজমান। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব অসাম্প্রদায়িক মানুষকে মনোভাবাপন্ন করে তুলতে তার উদ্যোগে নতুন শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে, যা এরই একটি প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, নেত্রী তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন—বাংলাদেশে কোনও সংখ্যালঘু নেই, যারা এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই বাংলাদেশী। সকলের সমান অধিকার রয়েছে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার। বিএনপি একদিকে ফ্যাসিবাদী শাসনকে বিদায় জানিয়েছে, অন্যদিকে আগামী নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচন করবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করেন।
শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর শ্রীশ্রী শীতলামাতা ঠাকুরানী মন্দির প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নববস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। তিনি তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি উল্লখ করে বলেন—প্রতিটি মায়ের নামে ফ্যামিলি কার্ড থাকবে, যার মাধ্যমে ভর্তুকিমূল্যে চাল ক্রয় করা যাবে। পাশাপাশি, হেলথ কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘৭১ সালে যারা বাড়িঘর লুট করেছে, মানুষের উপর নিরীহভাবে হামলা চালিয়েছে, তারা এখন বেহেশতের টিকিট বিক্রির হুমকি দেয়—এ সবকিছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেকে নিরাপদ রাখতে প্রত্যেকেরই সচেতনতা জরুরি।
অতীতের নেতিবাচক ঘটনার জন্য আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আসন্ন দুর্গাপূজা আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের মূল উদ্বোধক ছিলেন খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান সজীব। উপস্থিত ছিলেন শীতলাবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি সুজিত সাহা, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার ঘোষ, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক বদরুল আনাম খান, খুলনা মহানগর পূজা ফ্রন্টের সভাপতি ডাঃ প্রদীপ দেবনাথ, পাশাপাশি সুজনা জলি, মেশকাত আলী, মাহাবুবউল্লাহ শামীম, আসাদুজ্জামান লিটন, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবু সাঈদ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।