২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভরিতে ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বর্ণের মূল্য। নতুন এই দাম বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বাজারে তেজাবি বা পিওর স্বর্ণের মূল্য বেড়েছে। এছাড়া, বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
নতুন দামে, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা। এর পাশাপাশি, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরি মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের জন্য সেটি হচ্ছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৪ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরি দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৫১ টাকা।
বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকারের নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির ৬ শতাংশ যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মান ভেদে মজুরির পরিমাণে পার্থক্য হতে পারে।
এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের সমন্বয় করে বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বৃদ্ধি করে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকায়। এটি ছিল দেশের বাজারে এতদিনের সর্বোচ্চ মূল্য।
অন্য ক্যাটেগরিতে, ২১ ক্যারেটের ভরি দাম ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের জন্য ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি কার্যকর হয় ২৩ সেপ্টেম্বর।
এ পর্যন্ত চলতি বছরে স্বর্ণের দাম ৫৭ বার সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০ বার ও কমানো হয়েছে ১৭ বার। ২০২৪ সালে মোট দাম সমন্বয় হয়েছিল ৬২ বার, যেখানে ৩৫ বার দাম বেড়েছে এবং ২৭ বার কমেছে।
এছাড়া, স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রূপার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। রুপার ভরি (২২ ক্যারেট) ১৫২ টাকা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২৮ টাকায়, যা এখন দেশের সর্বোচ্চ। অন্যান্য ক্যাটেগরিতে, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের জন্য ২ হাজার ৯৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২ হাজার ২২৮ টাকা দিয়ে।