খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বাংলাদেশের সব নাগরিকের মধ্যে ধর্মবর্ণের ভেদাভেদ থাকলেও তারা সবাই সমান অধিকার, স্বাধীনতা ও সুরক্ষা ভোগ করছে। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ, প্রতিটি গোষ্ঠী, গোত্র ও সম্প্রদায় উৎসাহের সঙ্গে তাদের ধর্ম পালন করছে। এই ধর্মীয় উৎসাহ ও সামাজিক মূল্যবোধ আমাদের দেশের সংস্কৃতির এক সুন্দর অনুষঙ্গ। একজন বাংলাদেশি হিসেবে এই সব ধর্ম, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের ভাব প্রকাশ পাচ্ছে। শারদীয় দুর্গোৎসব এই শৈল্পিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, প্রতিটি পরিবারে শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
তিনি রোববার সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন স্থান, যেমন বাগমারা সর্বজনীন শ্রীশ্রী গোবিন্দ মন্দির, তেঁতুলতলা মন্দির ও লবণচরা সর্বজনীন পূজামন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পূজামন্দিরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই শুভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, আনোয়ার হোসেন, মজিবর রহমান ফয়েজ, ইউসুফ হারুন মজনু, নজরুল আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শামীম আশরাফ, হুমায়ুন কবির ও অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ।
অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে ধর্মের পারিপার্শ্বিক সৌন্দর্য ও এর মাধ্যমে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষ একে অপরের কাছাকাছি আসছে, মিলেমিশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রাণবন্ত উদাহরণ তৈরি করছে। এর মাধ্যমে সৃষ্টিশীলতা ও ভ্রাতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এরকম সুন্দর অনুষ্ঠান ও উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশে শান্তি ও ঐক্য আরো প্রকৃতিশালী হবে—এমন প্রত্যাশায় সবাই একত্র হয়।