নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় দড়ি বিশনন্দী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক প্রাণ হারালেন। এ গ্রামে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা আলোচনায় এসেছে ব্যাপকভাবে, কারণ এতে আরও চারজন স্থানীয় বাসিন্দা গুরুতর আহত হন।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে, আনুমানিক সোয়া দুইটার দিকে। বৃষ্টি শুরু হলে ওই গ্রামের নারি ও তার পরিবার Components-নিত উল্লেখ করে, একজন নারী রান্নাঘরে যেতে গেলে দেখেন সেখানে ৩-৪ জন অপরিচিত দেহ-লুক্কুর ছদ্মবেশে অবস্থান করছে। তিনি বুঝতে পারেন, তারা ডাকাত হতে পারে বলে সন্দেহ হয়। দ্রুতই তিনি ডাক দেন আর চিৎকার করেন “ডাকাত ডাকাত”।
শেখ এই চিৎকার শুনে ঢাকনা থেকে বের হন তার স্বামী ইলিয়াস মিয়া, ছেলে নাঈম মিয়া (১৮), পাশে থাকা প্রতিবেশী ফারুক মিয়া (৪৫) ও আবুল হোসেন (২৮)। কিন্তু দেখা যায়, ডাকাতরা তাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, ফলে তারা গুরুতর জখম হন।
আনেকক্ষেত্রে, গ্রামে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত এসেছে’ ঘোষণা দিলে স্থানীয় মানুষজন দ্রুত জড়ো হন। তারা দ্রুত হামলাকারীদের ধাওয়া করে। তখনই নবী নামে এক ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দেয়া হয়। ফলে তার ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। নবী ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলার পশ্চিম আগুআন্দি গ্রামের লুকুর ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর আহত কুলসুম বেগমকে ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত নবীর মরদেহটি নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, রাতে ডাকা সঙ্গে গোপন সূত্রে নিশ্চিত হন যে স্থানীয় বাসিন্দারা তদন্তে এক ব্যক্তিকে দড়ি বিশনন্দী গ্রামে গণপিটুনিতে হত্যা করেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ডাকা দলটি বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়, কিন্তু পুলিশ ও স্থানীয়দের সক্রিয়তা এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান।