আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘জুলাই সনদ’-এর ভিত্তিতে আয়োজনের দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, এই দাবিতে রাজপথে আন্দোলন ছাড়া তাদের কোনও বিকল্প নেই। সেই অনুযায়ী, দলটি তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এজন্য, জনগণের আবেগ ও অভিপ্রায় অনুযায়ী, আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন JULY সনদের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়, সেটি আমাদের মূল দাবি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। নাহলে, জনগণ রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। তাঁর মতে, বর্তমান সংকটের সমাধানে একমাত্র পথ হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আর তা সম্ভব হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ গঠিত ঐক্য ভিত্তিক চেষ্টার মাধ্যমে।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সম্পৃক্ত হয়েই শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের দাবি তুলে ধরতে চায়। এর জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের সময়ে রাজপথে কঠোর অবস্থান থেকে বিরত থাকছে।
জামায়াত মনে করে, সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে রাজনৈতিক সমাধান এখনও সম্ভব। তবে, জনগণের দাবিগুলো উপেক্ষা করলে কঠোর আন্দোলনের দিকে যেতেও তারা প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দেন দলের সচিব জেনারেল।
দলের দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি হিসেবে তারা ঘোষণা করেছে:
১. পহেলা অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠন উপলক্ষে জনসংযোগ।
২. ১০ অক্টোবর ঢাকায় ও বিভাগীয় শহরগুলোতে গণমিছিল।
৩. ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি হলো:
১. জুলাই সনদ ভিত্তিক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
২. নির্বাচন পদ্ধতি হবে সম্পূর্ণ পরিবর্ধিত পিআর পদ্ধতিতে।
৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হতে হবে দৃশ্যমানভাবে।
৫. ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদী দোসররা—জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল—বিচার করতে হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।