দুর্গাপূজা শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি বাংলাদেশের সার্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এতে দেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন। এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। তিনি বলেন, বিএনপি জনকল্যাণমূলক রাজনীতি করে, ক্ষমতার জন্য নয়। দেশের সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষকে যুক্ত করার জন্য রাজনীতি করে তারা। যারা এই ধর্মীয় উৎসবের নামে বিভিন্ন অপকর্ম করছে, তাদের কড়া হাতে দমন করা হবে, বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
শনিবার রাতের শারদীয় দুর্গাৎসব উপলক্ষে দৌলতপুরে একটি পুজামন্ডপ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন বকুল। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও মানুষের পাশে থাকবে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যদি জনগণ আমাদের ভোট দেয়, তাহলে আগামী দিনে তিনিেক রহমানের নেতৃত্বে একটি বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়া হবে। নতুন বাংলাদেশে ‘মাইনরিটি’ শব্দের জন্য কোনো স্থান থাকবেনা। সবাই মানবতার চোখে দেখা হবে—মুসলমান, হিন্দু বা অন্য কেউ—সবাই সমান অধিকার, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা উপভোগ করবে।
বকুল সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন, কোনো দলের পুঁজি নয়। আপনাদের নিজেদের অধিকার আছে, সমাজে সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। অতীতে কিছু কুচক্রী মহল সনাতন সম্প্রদায়কে রাজনীতিতে ব্যবহার করে চলে গেছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ নয়, কেবল স্বার্থপর কিছু অসাধু মহল উপকৃত হয়েছে। কিছু এলাকা থেকে সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এসব অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে যদি বিএনপি নেতা ও আশেপাশের কেউ জড়িত থাকেন, তার শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
বকুল আরও জানান, যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এবং পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের শাস্তি দেবে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতীত কোনও সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। সুতরাং, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মার্চ মাসে বাংলাদেশের জনগণ ভোটের উৎসব উদযাপন করবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য। একদল ষড়যন্ত্র করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে সবাই সতর্ক থাকুন ও করণীয় গ্রহণ করুন। কোথাও যদি অন্যায় হয়, দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ব্যবসায়ী সমাজকেও তিনি নিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে উৎসাহ দেন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সদিচ্ছা ও সমতা বজায় রাখতে অনুরোধ জানান। বক্তৃতার শেষে বকুল বলেন, আমরা জনগণের পাশে আছি, আছি এবং থাকব। আমাদের স্বপ্ন—তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক এবং আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ সাদী, মুর্শিদ কামাল, ইমাম হোসেন, প্রফেসর মাধব চন্দ্র, সত্যানন্দ দত্ত, শ্রামল কুমার দাশ ও অজয় কুমার দে সহ অনেকে।