ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে। উপজেলার ধরা আশ্রমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তার সহযোগী মিলন মিয়া (২১) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুজনই জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় অটোরিকশাচালক। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই কিশোরী (১৫), নবম শ্রেণির ছাত্রী, সোমবার দুপুরে মিলনের সঙ্গে পার্কে যায়। বিকালে, মিলন মেয়েটিকে তার বাড়িতে ফিরে আসানোর জন্য অটোরিকশায় তুলে নেয়। এরপর বাশার নিজেকে পূজামণ্ডপ দেখানোর অজুহাতে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। এক সময়, একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক মিলন চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতের মধ্যে আবুল বাশারের বাড়িতে অভিযান চালায়, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় অটোরিকশাটিও জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত মিলন জানিয়েছে, মেয়েটি তার বন্ধু। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবুল বাশারকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে। ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ধর্ষণের এই ঘটনার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য এবং সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অলিক মৃ।