নির্বাচন পেছানোর কোনো চক্রান্তে এনসিপি যুক্ত নয়, বরং তারা দাবি করেন যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানই তাদের মূল লক্ষ্য। এই মত ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।’
মঙ্গলবার, পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গামন্দির পরিদর্শন শেষে হাফিজাবাদ ইউনিয়নের হুদুপাড়া দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় কিছু দুর্গামন্দিরে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যদি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নির্বাচন হয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের একটাই দাবি, বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান ও জুলাই মাসে নতুন সনদ অনুযায়ী মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন হওয়া। এটা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
শাপলা প্রতীক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতীক পাওয়া না পাওয়া ও নির্বাচ postponement – এই দুইটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। আমরা আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পাওয়ার যোগ্য। নির্বাচন কমিশনের অবশ্যই বাইরের চাপ উপেক্ষা করে আইন অনুযায়ী আমাদের প্রতীক বরাদ্দ দিতে হবে।’
অতীতে কিছু দখলদার ধর্মীয় সম্পত্তি ও খাস জমি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে দখলের চেষ্টার কথা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানানো হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরা যথাযথ শাস্তি না পাওয়ায় ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
সারজিস আলম আরও বলেন, প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু বাহিনী ও গণমাধ্যম এআই টুল ব্যবহার করে বিকৃত ছবি ছড়িয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাচ্ছে। তবে তিনি জানান, পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি সন্তোষজনক ও পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। আমাদের সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন অটুট।