বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন চাননি, তারা পরিকল্পিতভাবে দুর্গাপূজার সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পল্টনস্থ একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুর্গাপূজা ভাষ্যসাধ্য করে আন্তর্জাতিক চক্রান্তও চলছে, যাতে এই ধর্মীয় উৎসবটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন না হয়। রিজভী বলেছিলেন, হিন্দু-মুসলমান সবাই এক হয়ে এই উৎসবের জন্য শপথ নিয়েছে, যেন কোনো বাধা বা চক্রান্ত পৃথিবীতে তার প্রকাশ না পায়।
তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পূজা কেন্দ্রীক সতর্কতামূলক দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের লক্ষ্য যেন পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতা বা রাজনৈতিক অপতৎপরতা চালানো না হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মুখমণ্ডল যেন কেউ কলঙ্কিত করতে না পারে, সেজন্য সবাই সতর্ক।
রিজভী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু-মুসলমান ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছে, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তারা একসঙ্গে ছিল। আজও দেশপ্রেম ও ঐক্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে – রাজনৈতিক দল, সমাজ ও দেশবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের শান্তি বজায় থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা জয়দেব, ডা. জাহিদুল কবির ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রাশেদুল হক।