গত কয়েক বছর ধরে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে আধিপত্য ছিল হার্দিক পাণ্ডিয়ার। তবে সম্প্রতি সেই আধিপত্য ভেঙে দিয়েছেন সাইম আইয়ুব। এশিয়া কাপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তিনি তিন ধাপ এগিয়ে শীর্ষে উঠেছেন। বিশেষ কিছু কথা হলো, তিনি চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েও র্যাঙ্কিংয়ে এতটা উন্নতি করেছেন।
অন্যদিকে, হার্দিক এখন র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন, তবে সায়মের থেকে তিনি আট ধাপ পিছিয়ে আছেন। ভারতের দুজন অলরাউন্ডারকে পেছনে ফেলে পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ চার ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বর স্থানে উঠে এসেছেন। শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কাও তিন ধাপ উন্নতি করে যৌথভাবে ৩০তম স্থানে রয়েছেন। এশিয়া কাপে তাদের পারফরম্যান্স এই র্যাঙ্কিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। তিনি এক অসাধারণ রেকর্ড তৈরি করেছেন, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে ছিল স্থায়ী। এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরির পর তার রেটিং ৯৩১ পয়েন্টে পৌঁছায়—টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানের (৯১৯ পয়েন্ট, ২০২০ সালে)। এই আকাশচুম্বি অর্জনের ফলে, তিনি নিজের সতীর্থ সূর্যকুমার যাদব এবং বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেলেছেন। ২৫ বছর বয়সী এই ওপেনার গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই দ্রুত উঠে আসছেন বিশিষ্ট তারকায়।
এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সে তিনি ৩১৪ রান করেছেন, গড় ৪৪.৮৫। এই পারফরম্যান্স তাকে টুর্নামেন্টের সেরার পুরস্কার এনে দেয়। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের ফিল সল্টের থেকে ৮২ রেটিং পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। ভারতের তিলক ভার্মা তিনে, শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কা পঞ্চমে ও কুশল পেরেরা নবম স্থানে রয়েছেন।
টিটিইউইটি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বাংলাদেশের ওপেনার সাইফ হাসান ৪৫ ধাপ এগিয়ে ৩৬তম অবস্থানে রয়েছেন। তার রেটিং পয়েন্ট এখন ৫৫৫, আর আগের সপ্তাহে তিনি ১৩৩ ধাপ এগিয়েছিলেন। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে রিশাদ হোসেন এগিয়ে ২০ নম্বরে অবস্থান করছেন।
এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের শাহিবজাদা ফারহান ১৩তম স্থানে পৌঁছেছেন, আর ভারতের সাঞ্জু স্যামসন ৩১তম। বোলিংয়ে ভারতের বরুণ চক্রবর্তী শীর্ষে রয়েছেন, যিনি এশিয়া কাপের সাত উইকেট নিয়ে তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ১২ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ১৩ নম্বরে, কুলদীপ যাদব ৯ ধাপ উন্নতি করে ১২ নম্বরে আছেন।