বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠছে। গতকাল রাতে ১৫টি ক্লাবের নির্বাচন বয়কটের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। আজ সেই গুঞ্জন সত্যি হয়েছে, কারণ সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ ১৫ জন প্রভাবশালী প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
আজ সকালে প্রার্থীরা বিসিবির কার্যালয়ে এসে নিজেদের আবেদন জমা দেন। দুপুর ১২টা ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। তাদের সরে দাঁড়ানোর কারণে সকাল ও দুপুরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়।
প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পেছনে মূলত সরকারের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও প্রার্থী ইসরাফিল খসরু। তিনি বলেন, ‘সরকারের একটি গোষ্ঠী এখানে স্পষ্টভাবে হস্তক্ষেপ করছে। এই বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনক। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয় বিস্তারিত জানানো হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ মোটেও স্বাভাবিক নয়। বিসিবির নির্বাচনে এই ধরনের অস্বচ্ছতা অপ্রত্যাশিত। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলরদের ফোন করে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। এছাড়াও ১৫টি ক্লাবের স্বেচ্ছাচারিতা মনোযোগযোগ্য।’
ইসরাফিল খসরু বলেন, ‘এটি একটি স্বাভাবিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নয়। সত্যি বলতে, আমরা নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের নির্বাচন দেখতে পারছি না। নির্বাচন প্রক্রিয়াটি ম্যানুফেকচার করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। নৈতিক দিক থেকে আমি এই অবস্থানে রয়েছি।’
সরকারের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফেয়ারনেস, যৌক্তিকতা ও সমতার ভিত্তিতে সমঝোতা হয়। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না তৈরি হয়, ততক্ষণ এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হবে না। পুরো বিষয়টাই প্রভাবিত হয়েছে।’
তামিম ছাড়াও সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বাবু, সৈয়দ বোরহানুল ইসলামসহ আরও অনেক প্রভাবশালী প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। এতে ৬ অক্টোবর নির্ধারিত বিসিবি নির্বাচনের পরিস্থিতি এখন অজান্তার মধ্যে থাকে, যা ভবিষ্যত নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরছে।