নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত খান এ সবুর মহিলা ফাযিল (ডিগ্রি) মডেল মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য নির্বাচন নিয়ে নানা অস্পষ্টতা ও অভিযোগের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশিত অভিযোগ অনুযায়ী, নির্বাচনের সময় অধ্যক্ষ মো. ছালেহ আহমেদ সাধারণ অভিভাবকদের যথাযথভাবে অবগত না করে, ভোটার তালিকা ও তালিকার মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা সরবরাহ না করে গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। এর ফলে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোটে জেতানোর জন্য তিনি বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় প্রায় ৯၆৭ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
সূত্রমতে, শারদীয় দুর্গা পূজার ছুটির মধ্যে অপ্রত্যাশিতভাবে আগামীকাল শনিবার মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যের নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হলেও, নির্বাচনের পূর্বে অভিভাবকদের জন্য কোনো সভা আহবান বা অবহিত করা হয়নি। শেষ মুহূর্তে, আশিকুজ্জামান শেখ নামের একজনকে এলাকা ও শিক্ষামূলক সমর্থন থাকা একজন ব্যক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদেরকে নির্বাচনের বিষয়ে কোন ধরনের তথ্য দেয়া হয়নি, এবং অধ্যক্ষ নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে বসানোর জন্য এই গোপনীয়তা অব্যাহত রেখেছেন। সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষে নির্বাচনের জন্য দাবি জানানো হয়েছে লুকোচুরির অবসান ঘটানোর এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত সভা ডেকে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের।
প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী এসএম জাহিদুল করিম পিন্টু অভিযোগ করেন, তাদের দেয়া ভোটার তালিকায় কোনও শিক্ষার্থীর অভিভাবকের ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর নেই, ফলে ভোটের সময় যোগাযোগ বা সমর্থন জানানো সম্ভব নয়।
অবশেষে, খানের এ সবুর মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ছালেহ আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই ধরনের লুকোচুরি বা তদ্বিরের কিছু নেই। তিনি জানান, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের জন্য নির্বাচন সম্পর্কিত নোটিশ নিজে দিয়ে এসেছেন এবং তিনি কোনো পক্ষে বিবেচিত নন। এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম ছায়েদুর রহমানের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।