শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মুহূর্তে খুলনা নগরীতে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর ও আনন্দের পরিবেশ। জেলখানা ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, যা সম্প্রীতির এক সুন্দর বার্তা দিয়েছে নগরবাসীর মধ্যে। খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং এই আনন্দঘন এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই এই দেশে বাস করি, যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে একটি সম্প্রদায় হয়ে থাকি। আজকের দুর্গাপূজা যেমন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, একইভাবে প্রতিমা বিসর্জনও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে আমাদের বিশ্বাস। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতেও যে কোনো ধর্মীয় উৎসবে সবাই একসঙ্গে থাকবে এবং সহযোগিতা করবে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রাখার লক্ষ্যে তিনি আহ্বান জানান। শফিকুল আলম মনা বলেন, “আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ যেখানে ধর্মের বিভাজন থাকবে না। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আমরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, এখানে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠের পার্থক্য নেই। সবার সমান অধিকার ও সুযোগ থাকা এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।” তাঁদের উপস্থিত ছিলেন খুলনা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, বিশ্বজিৎ দে মিঠু, বিপ্লব মিত্র, ভবেশ সাহা, পাপ্পু সরকার, ধনরঞ্জন সাহা বাপ্পি, রতন বণিক, সুশীল দাসসহ বিভিন্ন মন্দির কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক নেতাকর্মীরা। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শফিকুল আলম মনা বলেন, “তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রমে দুর্গাপূজা সফলভাবে আয়োজন করেছেন। বিএনপি সব সময় তাদের পাশে থাকবে।” প্রতিমা বিসর্জনের পর রূপসা নদীসহ বিভিন্ন ঘাটে ভক্তরা আবেগপূর্ণ পরিবেশে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানায়। ঢাক ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। আনন্দ ও অভিমান মিশ্রিত এই বিদায়বেলায় ভক্তরা ভবিষ্যতে আবার দেবী দুর্গার আগমন ও শুভ বার্তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।