খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা ৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে জুম্ম ছাত্র-জনতার মিডিয়া সেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের আংশিক আশ্বাসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সাম্প্রতিক নৃশংস গণহত্যার প্রেক্ষাপটে ১ অক্টোবর বিশিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ দ্বিতীয় দফার আলোচনা করে। ঐ বৈঠকে তারা তাদের ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করে, যার মধ্যে রয়েছে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, হামলা-গ্রেফতারের অবসান, ধর্ষণের দুই আসামির গ্রেফতার ও বিচার, ভুক্তভোগী পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ, ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার ব্যয় বহন, এবং আটক ব্যক্তিদের নি:শর্ত মুক্তি।
অভ্যুত্থানের সূচনাতে ২৩ সেপ্টেম্বর এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসলে সড়ক অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি উত্তাল হয়। যদিও মেডিকেল পরীক্ষায় ওই কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি, তার পরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অবরোধটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।