গণঅধিকার পরিষদে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন, জামায়াত ও শিবিরের নানা অন্য দলগুলিতে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির কারণে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন। রাশেদ খান বলেন, “জামায়াত এবং শিবিরের অন্য দলে নিজেদের লোকবলের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সম্প্রতিকালে এই নীতির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের সংগঠন গুলোর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদ এবং এনসিপি। এই দুই তরুণ দলসহ অন্যান্য সংগঠনে নিজেদের লোকজন যুক্ত করে তারা সংগঠনগুলোর মধ্যে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করছে, বিভাজন বাড়াচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে পরিচয় প্রকাশ না করেই তাদের সংগঠনে যুক্ত করার প্রবণতা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকেও বাধাগ্রস্ত করছে। এই নীতির কারণে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের এই কার্যকলাপ এখন তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে সুদিনের সময়।” রাশেদ খান বলেন, “যদি জামায়াত-শিবির বাংলাদেশে মধ্যপন্থী রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করে, সেটাকে অবশ্যই স্বাগত জানাতে হবে। তবে তাদের পুরো রাজনীতি হোক প্রকাশ্য ও স্বচ্ছ। অন্যথায়, দলের মধ্যে বিভেদ বাড়বে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং বিরাজনীতির সৃষ্টি হবে।” তিনি সতর্ক করেন, “দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, জামায়াত-শিবিরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসলামকে রাজনীতিতে যুক্ত করার ক্ষেত্রেও তাদের সচেতন হওয়া জরুরি। বর্তমানে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থী ধারায় চলে আসছে। এই ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে মানুষ ভুল মেসেজ পাবে। ইসলামিক দল গঠনের নামে এমন কৌশল অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার, কারণ এতে দেশের সম্পূর্ণ সিস্টেম বিপর্যস্ত হবে ও বিরাজনীতির সৃষ্টি হবে।” শেষ তিনি প্রার্থনা করেন, “সম্প্রদায়ের সবাই আল্লাহর রহমতে এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পান, আমিন।”