খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্রনেতা এস এম কামাল হোসেন ছিলেন দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। রাজনীতির ক্রান্তিকালে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। কামালে মতো নেতৃত্বের দরকার আজকের রাজনীতিতে। তিনি পরিবারের একজন কর্মঠ মানুষ ছিলেন, এবং তার মৃত্যুতে পরিবার যখন একজন অভিভাবক হারিয়েছে, তখন দলও একজন সাহসী নেতা হারিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ ও দোয়া অনুষ্ঠান বড়ই শোকের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, এস এম কামাল হোসেন খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজে পড়াশোনা করতে গিয়ে ১৯৯৫ সালে ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখেন। একই বছরে নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে তিনি ১৯৯৮ সালে কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ২০০১ সালে সভাপতি, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৫ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, ২০১৪ সালে সরকারি বিএল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন সৎ, সাহসী ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় শতাধিক রাজনৈতিক মামলা ছিল। সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবুর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ সুমানের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন আরও নানা নেতা-কর্মী। উল্লেখ্য, সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাতে বুকে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪২ বছর।