প্রথম टी-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও একই রকম দৃশ্য দেখা গেল। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ মাঝপথে কিছুটা পথ হারিয়ে ফেলে, তবে শেষমেশ দলের জয়ের স্বপ্ন সফল করলেন নুরুল হাসান সোহান। প্রথম ম্যাচে রিশাদ হোসেনের সাথে পার্টনারশিপে জয় পেয়েছিলেন, আজ শরিফুল ইসলামকে পেলেন আবার রানের জন্য। এই এক পার্টনারশিপের সুবাদে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজের জয় নিশ্চিত করে ফেলল কোচ ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
শুরুর দিকে রান তুলতে সমস্যা সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন দুজনই অঙ্কের একপ্রান্তে ফিরে যান। দ্বিতীয় ওভারটির দ্বিতীয় বলে তানজিদ ফিরে যান, আগের দিনের হাফ সেঞ্চুরিয়ানকে আজমতউল্লাহ ওয়াক্সের উপর থেকে ক্যাচ ধরেন। তানজিদের বিদায়ের মাধ্যমে প্রথম ওভারেই পড়ে বাংলাদেশ।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান ইমনও। ওমরজাইয়ের দুর্দান্ত গুড লেংথের বল লেগ বিফোর উইকেটে পাঠান তিনি। তার ব্যাটে আসে ৫ বলে ৩ রান।
পরে ইনফর্ম সাইফ হাসানও শিকার হন। মালুমের বা পাওয়ার প্লের প্রথমে বাংলাদেশ ৩৭ রানেই তিন উইকেট হারায়।
অতিরিক্ত চাপের মধ্যে গণনা অনুযায়ী ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭ রান। তবে এরপর ধীরে ধীরে এই সংকট কাটিয়ে ওঠেন জাকের আলী অনিক ও শামীম পাটোয়ারি। দশ ওভারে বাংলাদেশ ক্রমশ ৭৪ রান করে উইকেটের বিপরীতে। এরপর ৮০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায়।
জাকের আলী (২৫ বলের ৩২ রান) ও শামীম (২২ বলে ৩৩ রান) দলের জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। দৌড়ে দলের শতক সম্পন্ন করেন, কিন্তু পরের ওভারে তিনি বিদায় নেন।
শেষে বাংলাদেশ ১০২ রান করেন ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। এরপর নুরুল হাসান সোহান দলের মূল সঙ্গী হয়ে ফিরে আসেন, দলের ভীত কাঁপানো পরিস্থিতিতে। ১৭তম ওভারে রশিদের শেষ বলে বোল্ড হন সোহান, তবে তার আগের ইনিংসে ১১ বলে ১০ রান ও ছিল। এই সময়ে বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট নেন, শরিফুল ইসলাম একটি উইকেট চান। মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং অনবদ্য হলেও উইকেট পাননি।
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, কাবুলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার। শেষ পর্যন্ত তারা সংগ্রহ করেন ১৩৮ রান, যেখানে নবি ১২ বলে ২০ ও ওমরজাই ১৭ বলে ১৯ রান অবিচ্ছিন্ন থাকেন।
বিজয়ী দলের মধ্যে নাসুম ও রিশাদ দুটি করে উইকেট নেন, শরিফুল ইসলাম একটি উইকেট পান। মুস্তাফিজের বোলিং বেশ প্রশংসনীয় হলেও তার একটি ক্যাচ ছেড়ে দেন ইমন, যা সম্ভবত উইকেটের পরিবর্তে সুযোগের হার।
এভাবে বাংলাদেশের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ তারা সিরিজে এগিয়ে থাকতেই থাকল।