ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টবর) রাতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংস্থা হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে এ নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে শনিবার গাজায় দখলদার ইসরায়েলি সেনারা আগ্রাসনিক অভিযান চালিয়ে ৪৬ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে তুফ্ফাহ এলাকার একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে একসাথে ১৭ জনের মৃত্যু ঘটায় তারা। এই ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা, যেখানে বলা হয় যে গাজায় প্রথমে ৯৩টি বিমান হামলা চালানো হয়, যার ফলে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হন। এর মধ্যে গাজার একদম কেন্দ্রে নিহতের সংখ্যা ৪৭।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ইসরায়েলি হামলার পরেও তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা কমানোর দাবিসহ বৈঠক করেনি। হামাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান একপ্রকার যুদ্ধাপরাধ। নেতানিয়াহুর সরকার এই রক্তক্ষয়ী হামলার জন্য দায়ী।’ তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আরব ও ইসলামি দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে, তারা যেন মানবিক দায়িত্ব পালন করে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ত্রাণ সহায়তা জোরদার করে এবং দুই বছর ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধের জন্য চাপ বাড়ায়।
গাজার স্থানীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা শহরেই নিহতের সংখ্যা ৪৭। এর আগে, শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় অবিলম্বে বিমান হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হামাস তার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, হামাস ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত।’
নিয়ে আসছে, শনিবার মিসর ঘোষণা করেছে যে, সোমবার সেখানে ইসরায়েলি ও হামাস প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবেন এবং তারা ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় বিষয়ক আলোচনা করবেন। এর আগেও, ২৯ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প গাজা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, যেখানে রয়েছে যুদ্ধবিরতি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও সংঘাত বন্ধের জন্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির পরিকল্পনা।