সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটি প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন, তবে এই ভোটের মাধ্যমে জনগণ সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না। নির্বাচনটি সম্পন্ন হচ্ছে ইলেকটরেল কলেজ পদ্ধতিতে, যেখানে সাধারণ জনগণ ভোট দিতে পারবেন না। রাষ্ট্রের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের গঠিত একটি নির্বাচন কমিটি ১৫৭০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়, যাদের মধ্যে ভোট দিচ্ছেন মোট ৬ হাজার ইলেকটরেল ভোটার।
সিরিয়ার পার্লামেন্টে মোট ২১০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য নির্বাচন করবেতার জন্য ইলেকটরেল কলেজের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে, আর বাকি আসনগুলি নির্ধারণ করবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। কিন্তু এই পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিকে অনেক দেশবাসী অগণতান্ত্রিক বলে মনে করছেন।
গত মার্চ মাসে সিরিয়ায় একটি সাংবিধানিক ঘোষণা জারি করা হয়, যেখানে সরকারের কার্যক্রমের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে ইসলামি আইনকে গুরুত্ব দেয়া হয়, তবে নারীর অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চয়তার পাশাপাশি বেশ কিছু নিরাপত্তা বিধানও রাখা হয়। তবে অনেক বিশ্লেষক ও সমাজবাদীরা বলছেন, এসব লক্ষণ বিরোধী গোষ্ঠী ও কট্টরপন্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে, যা দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ।