বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তিনি দ্রুত দেশের মাটিতে ফিরে আসবেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আজ সোমবার বিবিসি বাংলার বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেন। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পরে প্রথমবারের মতো তিনি কোনো মৌখিক সাক্ষাৎকারে অংশ নিলেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি আগামী নির্বাচনের জন্য দলের কৌশল, আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের নেতাকর্মীদের বিচার, বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনীতি এবং সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিপ আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোল। সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশ আজ বিবিসি বাংলার পাঠকদের জন্য প্রকাশিত হলো।
বিবিসি বাংলার প্রশ্নে, তিনি উল্লেখ করেন, গত এক বছরে নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর সম্পন্ন হল, এবং অনেকের মনে ছিল যে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি দেশে এসে দলের নেতৃত্ব দেবেন। তবে এখনো নিজেকে দেশে ফিরবেন কি না, তার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে না পারলেও তিনি জানান, ফেরার সময় খুবই কাছাকাছি এবং শীঘ্রই তিনি দেশে ফিরবেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু সংগত কারণে এখনো ফিরতে পারেননি, তবে এখন সময় এসেছে। ইনশআল্লাহ, শীঘ্রই ফিরে আসব।’ তারেক রহমানের এই কথায় বোঝা যায়, তিনি খুব দ্রুত দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন।
নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি জানান, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তিনি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, ইচ্ছা এবং প্রবল আগ্রহ নিয়ে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনে অংশ নিতে। নির্বাচন যখন হবে, আমি অবশ্যই জনগণের মাঝে থাকব।’
একই সাথে, তিনি বলেন, তার দলের কিছু নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি কিছু নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে এখনো দেশে ফিরছেন না। তিনি এই বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা রকম শঙ্কার খবর শুনেছেন, যা সরকারের কাছ থেকেও কিছু কিছু প্রকাশ পেয়েছে।
পরবর্তী প্রশ্নে, তাকে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি উত্তর দেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। নির্বাচনে আমি অংশ নেব—এটা নিশ্চিত। নির্বাচন যেখানে হবে, সেখানে আমি থাকব।’ তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের জনগণের। এটি আমার নয়, তাদের সিদ্ধান্ত।’
শেষে, প্রশ্ন করা হয়, আসলেই কি তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি উত্তরে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘নিশ্চয়ই। আমি ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে থাকব।’ এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, তিনি খুব দ্রুত দেশের রাজনীতিতে বড়ভাবে ফিরে আসার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।